নিজস্ব প্রতিবেদকঃ গ্রামের সৌন্দর্য যে কাউকেই মুগ্ধ করে। বিশেষ করে যারা শহরে থাকেন তাদের অনেকেরই মন কিন্তু পড়ে থাকে গ্রামের মেঠো পথে প্রান্তরে।
গ্রামের সবুজ নয়নাভিরাম প্রাকৃতিক দৃশ্য দেখলে চোখ জুড়িয়ে যাবে যে কারও। গ্রামের মায়ামাখা দৃশ্যগুলো চিত্তে অনেক শান্তি দেয়।
ইট-পাথরের শহরের খুপড়ি ঘরে সবই কৃত্রিম। অথচ ছায়ায় ঘেরা মায়ায় ভরা গ্রাম, আঁকা-বাঁকা বয়ে চলা নদী-খাল, সবুজ শ্যামল মাঠ সবকিছুই প্রাকৃতিক।
দর্ষক বলছিলাম সিলেটের ওসমানীনগর উপজেলার ৩নং পশ্চিম পৈলনপুর ইউনিয়ন এর ঐতিহ্যবাহী বড় হাজিপুর গ্রামের কথা,যে গ্রামের নামে রয়েছে বড় হাজিপুর বাজার, ঐতিহ্যবাহী সেই বাজারে সব সময় পাওয়া যায় সব ধরনের হাওরের টাটকা সুস্বাদু মাছ,সবজি সহ স্টেশনারি দোকানে সব ধরনের পণ্য,
বড় হাজিপুর গ্রামটি দুটি পাড়ায় বিভক্ত,পুর্ব পাড়া এবং পশ্চিম পাড়া, পাড়া দুটি হলেও পঞ্চহাইত এক,দুই পাড়ায় রয়েছেন অসংখ্য খ্যাতিমান ধরনাঢ্য সালিশি ব্যক্তিবর্গ, তবে দুনিয়ার মায়া ছেড়ে পরপারে ছলে গেছেন অনেকেই কেউ রয়েছেন শয্যাশায়ী হয়ে, বয়সের ভারে কাবু করেছে দেহের শক্তি, গ্রামটিতে জন্ম হয়েছে অনেক খ্যাতিমান রাজনীতিবিদ সাংবাদিক সরকারি বেসরকারি চাকরিজীবীর,
বড় হাজিপুর গ্রামে রয়েছে দৃষ্টিনন্দন দুটি জামে মসজিদ, শেষ প্রান্তে ঐতিহ্যবাহী বড় হাজিপুর মদিনাতুল উলুম মহিলা মাদ্রাসা লাল সবুজের রঙে আবৃত বড় হাজিপুর জিয়া পুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, বড় হাজিপুর গ্রামের বেশিরভাগ মানুষজন পরিবার নিয়ে যুক্তরাজ্য সহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশে স্থায়ীভাবে বসবাস করছেন,কেউ কেউ আবার সিলেট শহরে, এলাকাটি প্রবাসী অধ্যুষিত হওয়ায় গ্রামের ভিতরে মালিক শুন্য হয়ে পড়ে আছে শখের সাজানো ব্রিটিশ আমলের তৈরি অসংখ্য ঘরবাড়ি, গাছের ফাঁকে ফাঁকে বাতাসে দোল খাচ্ছে জবাফুল গুলি,গ্রামবাসীর ঘুম ভাঙে পাখ-পাখালির কিচিরমিচির শব্দে।
গ্রামের সাধারণ মানুষজন বড়ই সহজ-সরল প্রকৃতির। গ্রামের এক পাশে সবুজ ফসলের মাঠ মুক্তার পুর হাওর এক পাশে বুড়ি নদী। আঁকাবাঁকা নদীর দু’তীরে অবারিত সবুজ মাঠ। মাঝে মাঝে গ্রাম আবার মাঠ। গ্রামটি মাঠের সঙ্গে মিশে অনেক জায়গায় এক হয়ে গেছে গ্রামের মেঠো পথ। গ্রামের সারি সারি গাছপালা, আঁকা-বাঁকা মেঠোপথ, ফসলের ক্ষেত, বসতবাড়িতে শান বাঁধানো পুকুর ঘাট। সবকিছুই দেখলে মনে হবে এ যেন শিল্পীর রংতুলি দিয়ে আঁকা কোনো ছবি। শান বাঁধানো পুকুর ঘাট প্রকৃতির চিরচেনা সুন্দর ও সচ্ছল বড় হাজিপুর গ্রামের রূপ-বৈচিত্র্য অটুট থাকুক যুগ যুগ। আবহমান গ্রাম-বাংলার রূপ বৈচিত্র্যে যেন বিলুপ্ত না হয়।