ওসমানীনগর প্রতিনিধি:
ওসমানীনগরের মরা গরুর মাংস বিক্রির অভিযোগে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনা করে ২৫হাজার টাকা জরিমানা করেছেন। শনিবার রাত সাড়ে ৯টার দিকে উপজেলার গোয়ালাবাজারে ভাই ভাই মিট হাউসে এ জরিমানা করা হয়।
জানা যায়, রাত ৮টার দিকে ভাই ভাই মিট হাউসের কর্মচারী জাহিদুল জবাইকৃত একটি মরা গরু সাটার খোলে দোকানে ঢুকালে আশ পাশের লোকজনের মধ্যে কৌতূহল দেখা দেয়। এসময় বিষয়টি স্থানীয় পুলিশে জানালে পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করে। পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদে দোকানের কর্মচারী জানায়, সে গদিয়ারচর গ্রাম থেকে পা ভাঙ্গা একটি দেশিয় গরু ২১হাজার ৫শ টাকা দিয়ে কিনে সেখানে জবাই করে দোকানে নিয়ে এসেছে। এরপর স্থানীয় সংবাদকর্মীরা তাকে প্রশ্ন করলে বলে, ২০হাজার টাকা দিয়ে গরুটি ক্রয় করেছে। একেক সময় একেক দর বলাতে সন্দেহ হলে বিষয়টি স্থানীয় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে জানালে তিনি ঘটনাস্থলে এসে পশু চিকিৎসককে না দেখিয়ে এবং রাতে গরু দোকানে ঢুকানোর অপরাধে তাকে ২৫হাজার টাকা জরিমানা করেন।
এদিকে ভাই ভাই মিট হাউসের মালিক শেখ ছুরাব আলী ১সপ্তাহ আগে দোকান ছেড়ে চলে গেলে দোকান ভবনের মালিক খালেদ হোসেন লিলু’র তত্বাবধানে কর্মচারী জাহিদুল গরুর গোস্তের ব্যবসা পরিচালনা করছিল।
দোকান কর্মচারী জাহিদুল বলেন, ১সপ্তাহ হয়েছে দোকানের মালিক শেখ ছুরাব আলী দোকান ছেড়ে চলে গেছেন। আমি ভবনের মালিকের তত্বাবধানে দোকান পরিচালনা করছি। আজ গদিয়ারচর থেকে একটি জীবিত গরু কিনে সে বাড়িতে জবাই করে এনেছি। গরুটি মরা ছিলনা। পশু চিকিৎসককে না দেখানো আমার ভুল হয়েছে।
খালেদ হোসেন লিলু বলেন, ছুরাব কিছু দেনা বাকি রেখে চলে গেছে। তাই আমি তার কর্মচারীকে বলেছি, ব্যবসা চালু রেখে দেনা পরিশোধ করতে। রাতে গরু দোকানে ঢুকানো ঠিক হয়নি।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জয়নাল আবেদীন বলেন, রাতে একটি মরা গরুর মাংস বিক্রির অভিযোগে সেখানে গিয়ে ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনা করে প্রশাসন ২৫হাজার টাকা জরিমানা করেছে। মাংসগুলো নষ্ট করা হয়েছে।