সোয়েব আহমদ সিলেট প্রতিনিধ
তুমুল জনপ্রিয় রাজনীতিবিদ,পশ্চিম পৈলনপুর ইউনিয়ন বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা,সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান মরহুম জননেতা মো.জিল্লুল হকের মৃত্যুর প্রথম বছরে (গেলো ২৬ আগস্ট-২০২৪ইং) তার প্রয়াণ দিবসে তাকে স্মরণে কোনো আয়োজন রাখেনি পশ্চিম পৈলনপুর ইউনিয়ন বিএনপি ।এ নিয়ে ক্ষোভও প্রকাশ করেছেন অনেকেই।দল নিবেদিত মানুষটিকে মৃত্যুর প্রথম বছরের মধ্যেই যেনো ভুলে গেছে সতীর্থরা।গলমুকাপনের পারিবারিক কবরস্থানে চিরনিদ্রায় শায়িত ‘প্রিয় জিলু ভাই’ বিএনপি নেতাদের মুখে মুখে।অথচ নিজের মৃত্যুবার্ষিকীর দিনটিতেও নিভৃতে থেকে গেলেন তিনি।এদিন তার কবরের পাশে দাঁড়িয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন আর আত্মার শান্তি কামনার সময় হলো না পশ্চিম পৈলনপুরের বিএনপির কোনো নেতার।কাণ্ডারী হয়ে দলকে যিনি পরিচালনা করেছিলেন,৮০'র দশকে দলের প্রচার ও প্রসারে নিজে মাইকিং করেছিলেন,জননেতা এম.ইলিয়াস আলী তার আমন্ত্রণে সর্বপ্রথম পশ্চিম পৈলনপুর অঞ্চলে পা রেখেছিলেন।সেই জিল্লুল হককে ভুলেই গেল তার আবেগ-অনুভূতি-ভালোবাসার সমার্থক বিএনপি।বিষয়টি নিয়ে কথা হয় পশ্চিম পৈলনপুর ইউনিয়ন বিএনপির বিভিন্ন স্তরের নেতাকর্মীদের সাথে।তারা জানান,দুঃখজনক হলেও সত্য সারাটা জীবন বিএনপির জন্য উজাড় করে যাওয়া জনমানুষের নেতা মরহুম জিল্লুল হকের প্রথম মৃত্যুবার্ষিকীতে দলের পক্ষ থেকে কোনো কর্মসূচির আয়োজন ছিলো না।যা ব্যথিত করেছে সবাইকে।যেখানে গুণীজনের কদর নেই,সেখানে গুণীজন জন্মায় না।জিল্লুল হকের মতো দলপ্রেমি,নিবেদিত,পোড় খাওয়া নেতাকে স্মরণ না করায় আমাদের ছোট মন-মানষিকতার পরিচয়ই ফুটে উঠেছে।গণমানুষের নেতা জিল্লুল হক এর প্রথম মৃত্যুবার্ষিকীতে পরিবারের পক্ষ থেকে গলমুকাপন জামে মসজিদে মরহুমের রূহের মাগফিরাত কামনায় আয়োজিত মিলাদ ও দোয়া মাহফিলে অংশ নেয়া অনেকেই জানান,দলের পক্ষ থেকে কোনো কর্মসূচি ছিলো না প্রিয় এই নেতার মৃত্যুবার্ষিকীতে।তারা মরহুমের পরিবার আয়োজিত কর্মসূচিতে অংশ নেন।তবে জিল্লুল হকের মৃত্যুবার্ষিকীর দিন পৃথক আরেকটি কর্মসূচি আয়োজন করে নানা সমালোচনার জন্ম দিয়েছে পশ্চিম পৈলনপুর ইউনিয়ন বিএনপি।